এখন অনেক রাত! অনেকদিন আগে থেকেই ভাবছি এই লেখাটা লেখা উচিৎ, মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় এই লেখার কথাগুলো কিন্তু সময় আর ইচ্ছার অভাবে লেখা হয়ে উঠে না। ভোর হতে কিছু ঘন্টা বাকি, বাইরে বৃষ্টি ; কারেন্টও নাই… ঘুম ভেঙে গেছে আরও ঘন্টাখানেক আগে, আবার আসার সম্ভাবনাও কম। তাই ভাবলাম মাথার ভিতরের জমে থাকা অনেকদিনের কিছু কথা লিখে সাজায়ে ফেলি, কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেই।
তো গত কয়েকমাস যাবতই আমার কোনো বন্ধুদের সাথে মেসেজ/কল/সমানাসামনি কথা হলেই যে কথাটা আমাকে প্রায় সবাই বলছে অথবা জিজ্ঞেস করছে তা হলো আমি কেনো আগের মতো সোস্যাল মিডিয়াতে এক্টিভ না, কেনো আমার কোনো খবর পাওয়া যায় না। এই কথা/প্রশ্ন শোনার পর আমি কাউকেই ঠিক করে কিছুই বলি না। বলতে ইচ্ছাও হয় নাই। এখন বলার সময় এবং ইচ্ছা দুইটাই আছে তাই বলতেছি……
আমি এইচএসসি পরীক্ষা থেকেই ছবি/ভিডিও তোলা কমায়ে দিছিলাম তারপরও টুকটাক যা তুলেছি স্টোরি / আপলোড করা হয়েছে কিন্তু গত কয়েকমাসে আমি খুব কম ছবি তুলেছি, তুললেও আমার কোনো প্রয়োজনে যেমন কোনো একটা লেখা অথবা কোনো বইয়ের ছবি। এগুলো অবশ্যই সোস্যাল মিডিয়াতে দেবো না! কেনো ছবি তুলি না? বলছি! গত জুলাইয়ে বরিশাল গিয়ে তুলছিলাম, খেয়াল থাকার কথা নিশ্চই! ঐশী,রিংকি, পিংকি সবাই ছিলো, তখন ছবি তুলতে একটুও কার্পণ্য করি নাই কারণ আমি আমার মনের মতো জায়গা, মানুষ, পরিবেশ পেয়েছি। ওই সময়ই মনে হয় এই বছর সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা হয়েছে। এরপর বরিশাল থেকে আসার পর আবার যেই সেই। মাঝে মাঝে তুললেও সেগুলো ছিলো গাছের/ফুলের/ প্রকৃতির। এরপর অন্য কারোর ছবি তো বাদই নিজেরও হাতে গোনা কয়েকটা ছবি বাদে তেমন কোনো ছবি তোলা হয় নাই এখন পর্যন্ত। এখন আর তুলতে ইচ্ছাও হয় না, এমনকি ভার্সিটি অরিয়েন্টেশনে গিয়েও আমি একটা ছবিও তুলি নাই, ক্লাস শুরু হওয়ার পরও দুই-একটা বাদে ছবি তোলা হয় নাই।। মনে হয়, গ্যালারি ঘাটতে গেলে সেই আগের পরিচিত মুখগুলো দেখতে পাবো না, দেখতে হলে অনেক পিছনে যেতে হবে!! কিন্তু কেউ কি পিছনে যেতে চায়? সবাই তো সামনে আগাতে চায়! আমি তারপরও প্রায়ই সময় পেলে আগের ছবিগুলো দেখি। ফেইসবুকে যে আগের মেমোরিগুলো আসে সেগুলো দেখি। এখন কত নতুন নতুন মুখ দেখি প্রতিদিন! কিন্তু তাদেরকে ঠিক গ্যালারিতে আনতে মন চায় না, আনিও নাই এখন পর্যন্ত। আস্তে আস্তে হয়তো কিছু নতুন মুখ আমাদের সবার গ্যালারিতেই আসবে।। তাই, যেহেতু এখন আর মিনিটে একশটা করে ছবি তুলি না সেহেতু আপলোডও দেই না। আর কেউ মহির খবরও পায় না।
তবে হ্যাঁ কিছু মানুষ যারা আসলেই আমার খবর চায় তারা আমাকে মেসেজ/কল দিয়েছে। এর মধ্যে আবার আরেক ঘটনা ঘটে গেছে কয়েকজনের সাথে মেসেঞ্জারে কথা হতো কিন্তু হঠাৎ করে মেসেঞ্জারে ঝামেলা করে, ঢুকলে সব ব্লাক কোনো মেসেজ শো করে নাই;মাঝেসাঝে করলেও নতুন মেসেজগুলো আগে আসতো না। বহুত কাহিনি করে শো করলেও যেই সেই হয়ে যায়!
অবশেষে মোস্ট হাইপড কুয়েশ্চন! আমি কোন ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি, আমি কোথায় আছি!!! কোথায় আছি জানি না, জানলেও বলবো না। আর ভার্সিটি? হ্যাঁ ভর্তি হয়েছি কিন্তু আমি ভার্সিটিতে পড়ি এইটা মানতে আমারই কষ্ট হয়। এখনও স্কুল কলেজের স্মৃতি তে বন্ধ মস্তিষ্ক! বাই দা ওয়ে, আমি আইইউবি তে মাইক্রোবায়োলজি সাব্জেক্টে এডমিশন নিয়েছি।। ভাই আসলেই আমি ভার্সিটিতে পড়ি?
উপরের কথাগুলো কিছু সংখ্যক মানুষ বাদে কাউকেই জানানো হয় নাই। তাই এই লেখার মাধ্যমে অনেক কিছু জানানো হয়ে গেলো আমার সোস্যাল মিডিয়ার বন্ধুবান্ধবদের! আরও কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট করার অপশন আছে, কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে না পারলে হোয়াটসঅ্যাপ/মেসেঞ্জার আছে! আর সেখানেও বলতে না চাইলে পাশের বাসার আন্টি আছে।
আমারটা জানার জন্যই যে আমার সাথে যোগাযোগ করতে হবে তা না! নিজের দিনকাল কেমন যাচ্ছে,প্যারা কেমন খাচ্ছো চাইলে আমাকেও জানাতে পারো! বাইরে ভোরের আজান দিচ্ছে, আজকে লেখা এখানেই শেষ করা যায়।
কাহিনী কি ২০২৩ এর?
হ্যাঁ, এডমিশন পিরিয়ড পরের সময়গুলো।
সুন্দর লেখনী
ধন্যবাদ 🫰🏻