শীতের বিকেল। উষ্ণতার মায়া ছেড়ে দিয়ে পকেটে রাখা হাতটা বের করে বালক। রাস্তার মোড়ের টংয়ের দোকানে লেবু ছাড়া ধোয়া ওঠা গরম চায়ের কাপটা হাতে নেয় সে। দুনিয়াটা সুন্দর মনে হয় তার কাছে। নিকোটিনের সরু জ্বলন্ত কাঠিটা ঠোটে ছুঁইয়ে বিষাক্ত সুখটুকু ফুসফুসে ছড়িয়ে দেয় সে। বালক আজ ভাল আছে। আশেপাশের যুদ্ধবিজয়ী যোদ্ধাদের ভীরে পরাজিত থেকেও ভাল আছে সে। উইনস্টনের সব সুখ নিংড়ে নিয়ে কাঠিটা পায়ের তলায় পিষে নিভিয়ে দিল বালক। পকেট থেকে সস্তা ওরিক্স ব্র্যান্ডের চায়নিজ ফোনটা বের করে পরিচিত নম্বর ডায়াল করে সে। রিং বাজতে থাকে। যান্ত্রিক নারী গলায় শোনা যায় “নম্বরটি ব্যস্ত আছে।” ওপাশ থেকে কেটে দিয়েছে ফোন। হঠাত কেঁপে ওঠে ফোন। মেসেজ একটা। অলস আঙুলে মেসেজটা খোলে বালক। “১ মিনিট” এটুকুই লেখা খুদেবার্তায়। মোস্তফা রোডের সামনে দাড়িয়ে আশেপাশে অলস দৃষ্টি বুলায় বালক। তখনই চোখ পড়ে তার উপর। এগিয়ে যায় বালক। হাটতে শুরু করে পিছুপিছু। এরপর পাশাপাশি। বালক জিজ্ঞেস করে,”১ মিনিট হল তাহলে?” মুচকি হাসে বালিকা। দুজনে এগিয়ে যায় ওভারব্রিজের দিকে।
শুরু হয় অচল বালক আর চপল বালিকার আরেকটা ভাল দিন।
-রয় (২০১৫)